সন্তোষজনক যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষমতা, হতে পারে অপর্যাপ্ত পুরুষাঙ্গ উত্থান অথবা দ্রুত বীর্য স্থলনের কারনে। আমেরিকার ম্যাসাচুয়েটস ষ্টাডিতে দেখা যায় প্রায় ৫২ শতাংশ চল্লিশোর্ধ পুরুষই যৌন অক্ষমতায় ভুগছেন। আমাদের দেশের অবস্থা আরো ভয়াবহ। তিরিশের পরেই অনেক পুরুষই এই দুরবস্থার শিকার।
মনোদৈহিকঃ নানান মন:পীড়ার কারনে এরকম হতে পারে।
অর্গানিকঃ স্নায়ুবিক (Neurogenic) হরমোন সংক্রান্ত ও রক্ত সঞ্চালনে অপর্যাপ্ত (Arterial) এবং ঔষধ সেবনের কারণে।
মিক্সডঃ (অর্গানিক ও মনোদৈহিক উভয়ই) বেশীর ভাগ যৌন অক্ষমতার কারন।
জীবন ধারার পরিবর্তন (Life Style Change): দৈহিক শ্রম ও ব্যায়াম, ওজন কমানো, চর্বিযুক্ত ও অধিক ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ।
ঔষধ পরিবর্তনঃ বিছু কিছু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঔষধ, ডিপ্রেশনের ঔষধ পরিবর্তন অথবা পরিমান কমানো এমন কি ড্রাগ হলিডেজের মাধ্যমে যৌন অক্ষমতা সারানো যায়।
মনোজৈবিক চিকিৎসা (Psychosexul therapy):
তিরিশের নিচের বয়সে এই পদ্ধতি কার্যকর। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে অনেক যুবক দোকান থেকে সহজ লভ্য ঔষধ, এমনকি গাছ-গাছড়া সেবন করে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হরমোন থেরাপীঃ
চল্লিশোর্ধ পুরুষের, অক্ষমতার পাশাপাশি থাকে ডিপ্রেশন,স্মরণশক্তি হ্রাস,স্বাস্থ্যহানি অথবা ভুড়িবৃদ্ধি, হাড় ক্ষয়, দৈহিক লোমের পরিবর্তন, নিদ্রাহীনতা্ ইত্যাদি। তখন প্রয়োজন অনুযায়ী হরমোন প্রয়োগ করতে হয়। মনে রাখবেন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ছাড়া হরমোন থেরাপী বিপদজনক হতে পারে।
ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসাঃ
নির্দিষ্ট ফসফোডাইষ্টারেজ-5 বিরোধী ঔষধ (সিলডেনাফিল), ভার্ডনাফিল, টাডালাফিল) এখন পুরুষেদের পছন্দের ঔষধ। এই ঔষধগুলি নানান বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষাঙ্গের ক্যাভারর্নাস টিসুতে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং প্রয়োজনের মূহুর্তে পুরুষাঙ্গকে শক্ত করে তুলে। কিন্তু এসব ঔষধের মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এবং সবার জন্য এই ঔষধ রিরাপদ নয়। এমনকি হার্র্ট এ্যাটাকও হতে পারে এই ঔষধ সেবনের পরে।
যারা হার্টের জন্য নাট্রোগ্লিসারিন জাতীয় ঔষধ খান অথবা বুকের ব্যথা উঠে, অথবা যাদের হার্টফেইলিওর আছে, অথবা সম্প্রতিক বুকে ব্যথা (M.I) হয়েছে অথবা যাদের অনিয়ন্ত্রিত হ্রদস্পন্দন (arrythmia) আছে। অথবা যাদের নিম্ন রক্তচাপ (<90/50) অথবা উচ্চ রক্তচাপ আছে অথবা যাদের ষ্ট্রোক হয়েছে তারা এসব ঔষধ খেতে পারবেন না।
সকল যৌন অক্ষম রোগীর জন্য এসেছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্ষম স্বল্পমাত্রার শক ওয়েভ চিকিৎসা পদ্ধতি ( Low Intensity Shock Wave Treatment ) লিনিয়ার শক ওয়েভ টিস্যু কাভারেজ প্রযুক্তি যাকে সংক্ষেপে আমরা বলি LSTC-ED.
বাংলাদেশে এই প্রথম ACKU নিয়ে এসেছে সকল যৌন অক্ষম রোগীর জন্য নিরাপদ ও স্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি LSTC-ED. এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বখ্যাত জার্মানীর রিচার্ড উলফ কোম্পানীর পিজো ওয়েব মেশিন।
সকল ধরনের অক্ষম পুরুষ বিশেষ করে পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহে ঘাটতি জনিত অক্ষমতা ( Vasculogenic ED)পুরুষদের কর্পোরা ও ক্রাম এর উপর স্বল্প মাত্রায় শব্দ তরঙ্গ প্রয়োগ করে রক্ত প্রবাহের নতুন স্তর সৃষ্টি করা হয়। এই পদ্ধতি সম্পূর্ন ব্যাথামুক্ত ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন। এই পদ্ধতির জন্য রোগীকে ভর্তি হতে হয় না এবং ৭ দিন পর পর মাত্র ৪ দিন বহিঃ বিভাগে আসতে হয়। মাত্র ৪ দিনের চিকিৎসাতেই সমাধান হয়ে যায় যেীন অক্ষমতার।